• E-paper
  • English Version
  • মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন

×

সাতক্ষীরায় ছাত্র আন্দোলনে শহীদের স্মারণে দোয়া ও শহীদ পরিবারে নগদ অর্থ প্রদান

  • প্রকাশিত সময় : শনিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৪
  • ১০ পড়েছেন

সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ

সাতক্ষীরায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদের স্মারণে দোয়া ও শহীদ পরিবারের নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে। শনিবার সকালে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে শহরের শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সাতক্ষীরার ৪জন শহীদ পরিবারকে নগদ ১লাখ টাকা করে অর্থ প্রদান করেন, প্রধান অতিথি দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।

সাতক্ষীরা জেলা জামাতের আমীর মুফতী রবিউল বাশারের সভাপতিত্বে এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, জামাতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, খুলনা মহানগরের সাবেক আমীর মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, খুলনা জেলা জামায়াতের আমীর ইমরান হুসাইন, খুলনা অঞ্চলের সদস্য মাস্টার শফিকুল আলম, সাতক্ষীরা জেলা জামাতের সাবেক সেক্রেটারি শেখ নুরুল হুদা, ইসলামি ছাত্র শিবিরের জেলা সভাপতি ইমামুল ইসলাম, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সহ—সমন্বয়ক নাজমুল হাসান রনিসহ অন্যান্যরা। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আজিজুর রহমান।প্রধান অতিথি এ সময় বলেন, প্রশাসনের রন্ধে্র রন্ধে্র স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের যে প্রেতাত্মারা বসে আছে তাদেরকে অপসারণ না করা পর্যন্ত নির্বাচনের জন্য ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত দেশ পুনঃর্গঠন না হবে ততদিন পর্যন্ত আমরা অন্তবর্তীকালীন সরকারকে সময় দিয়ে সহযোগিতা করতে চাই। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে দেশের মানুষের উপর গুম—খুন, মিথ্যা মামলা ও নির্যাতন চালিয়েছে আওয়ামী স্বৈরাচার সরকার। দেশ ও জনপদকে মুক্ত করতে যে সমস্ত ছাত্র জনতা জীবন দিয়ে শহীদ হয়ে গেলেন তারা জাতীয় বীর। রাষ্ট্রীয়ভাবে এসব শহীদদের বীর হিসেবে ঘোষণাসহ খুনিদের বিচার অবশ্যই বাংলাদেশের মাটিতে হবেই। ইতিমধ্যে অন্তবর্তীকালীন সরকার বিচারের কার্যক্রম শুরু করেছে। তাদেরকে সাধুবাদ জানাই।

আন্তর্জাতিক আদালতেও ইতিমধ্যেই গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাসহ তার সকল দোসরদের নামে মামলা হয়েছে। গণহত্যাকারীরা যারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি আরো বলেন, অমানুষিক জুলুম নির্যাতনের পরও জামায়াত নেতারা স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের সাথে কোন আপোষ করেননি, অথচ স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। স্বৈরাচারের লোকজন হিন্দু ভাইদের ব্যবহার করে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল, কিন্তু দেশের ছাত্রজনতা সেটি নস্যাৎ করে দিয়েছে। জামায়াত ও শিবির নেতাকর্মীরা হিন্দু ভাইদের মন্দির, জমি জায়গা পাহারা দিয়ে শান্তির বাংলাদেশ বিনির্মানে কাজ করেছেন।

কিন্তু বিগত দিনে আওয়ামী লীগেরই লোকজন হিন্দু ভাইদের ঘরবাড়ি, জায়গা জমি দখল করে লুটপাট ও মন্দির ভাংচুর নির্যাতনের ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি এসময় শহীদ পরিবারের মাঝে যে সহযোগিতা দেয়া হয়েছে তা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানান।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA